চোখে লেখার কী-বোর্ড
Gaze Controlled Keyboard |
চোখ দিয়ে আবার লেখা যায় নাকি!
হ্যা। অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে ফেলার কোন কারণ নেই। কারণ এবার সত্যি চোখ দিয়ে লেখা থেকে শুরু করে একাধারে গুগলে সার্চ করা, ইউটিউবে গানের লিস্ট খুজে বের করা কিংবা সোশ্যাল যোগাযোগ এমনকি স্টকএক্সচেঞ্জ এর শেয়ার মার্কেটের কাঙ্ক্ষিত শেয়ার ও খুজে বের করা যাবে। যদিও Tobii Eye Tracking থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি কোম্পানী এধরণের প্রোডাক্ট তৈরি করে দুনিয়া কাপিয়ে যাচ্ছিলো। তবে কম খরচের মধ্যে, আমাদের বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে আমরাই একটা প্রজেক্ট ডিজাইন করে ফেললাম।
শুরু থেকেই শুরু করা যাক।
পাইথন প্রোগ্রামিং এর প্রতি ঝোক উঠেছিল সি শেখার পর থেকেই। মাঝখান থেকে ডিপার্টমেন্ট মাতব্বরী করে সি++ ও কিছুটা গুলিয়ে খাইয়ে দিতে চেয়েছিল আমাদের। সেই গোলানো প্রসাদ কার হজম হয়েছে জানি না। তবে আমার হয়নি একদম। বলতে গেলে তখন থেকেই পাইথন শেখার পায়তারা। শুরু করব করব করে শুরু আর হয়নি।
কিছুদিন কাজ করছিলাম হিম্যানয়েড রোবট নিয়ে। ঘাটাঘাটি করে যা বুঝতে পারলাম তার সারমর্ম এই দাঁড়ায় যে আর্টিফিশিয়ালই ইন্টিলিজেন্ট রোবট বানাতে গেলে পাইথনের জুরি মেলা ভার। এর মধ্যেই ডিপার্টমেন্টে চলছে ম্যাটল্যাব শেখানোর নতুন পায়তারা। আমি পড়লাম কনফিউশনে, ম্যাটল্যাব করব ? নাকি পাইথন?
সিনিয়র ভাইদের জিজ্ঞেস করলে বলে ম্যাটল্যাব করো। ইইই তে ম্যাটল্যাবেই অনেক কাজ করা লাগে। যত ভাল শিখবা তত ভাল কাজ করতে পারবা। কিন্তু নেট ঘেটে ওদের অফিশিয়াল ডকুমেন্টেশন ছাড়া সেরকম কিছু খুজেই পাইনা। অথচ নেট ঘাটলে পাইথনে অজগরময় দুনিয়া একের পর এক দুয়ার খুলে যাচ্ছিলো।
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। যা থাকে কপালে। পাইথন শিখবো ভাল করে। আরও অনেক প্রজেক্ট করতে হবে। বসে থাকলে চলবেনা।
No comments